ফারুক আহমেদ, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি : মাগুরায় জগদল ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপর সন্ত্রাসী কায়দায় হামলার অভিযোগ।
মোঃ ইসরাইল হোসেন (৪২), পিতা-মোঃ জমির মন্ডল, গ্রাম- দুধসর, থানা-শৈলকুপা, জেলা-ঝিনাইদহ বর্তমানে মাগুরা সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা, মাগুরা সদর থানায় হাজির হয়ে আসামি মোঃ মিটুল হোসেন (৪০), হান্নান মোল্যা (৪৫), উভয় পিতা- মোঃ লাল মিয়া মোল্যা, বেলায়েত মোল্যা (৫৫), পিতা-সমির মোল্যা, টোকন মোল্যা (২৫), পিতা-ইছাহাক মোল্যা, আল আমিন (২৩), পিতা- কেছমত মোল্যা, মধু মোল্যা (২৮), পিতা-মোঃ সৈয়দ মোল্যা, সর্বগ্রাম- আজমপুর, মোঃ ইয়াছিন হোসেন (৩০), পিতা-আব্দুল করিম মীর, নয়ন মিয়া (৩০), পিতা-রতন মোল্যা, সর্বগ্রাম- জগদল, থানা-মাগুরা সদর, জেলা-মাগুরা গনসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জন এর বিরুদ্ধে এজাহার দাখিল করেছে। এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি মোঃ মিটুল হোসেন (৪০), হান্নান মোল্যা (৪৫) দ্বয় গত ০৪/০১/২০২৩খ্রি. বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি), মাগুরা সদর, মাগুরা হতে ৩০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। আসামীগণ ঋণ গ্রহনের পর হতে মাসিক কিস্তি পরিশোধ করা হতে বিরত থাকেন। নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে উক্ত ঋণ পরিশোধের কথা থাকলেও আসামীগণ ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে উক্ত মেয়াদ উত্তীণ ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য একাধিকবার আসামীদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও আসামীগণ দেই দিচ্ছি বলে সময় অতিবাহিত করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারি বিধি মোতাবেক ক্রাশ প্রোগ্রামের আওতায় বৃহস্পতিবার ১১/০৭/২০২৪ খ্রি. তারিখে সকাল ১০ টার সময় অত্র দপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর সমন্বয়ে আসামীদের বসত বাড়িতে ঋণ আদায়ের ক্রাশ প্রোগ্রাম করতে যাই। উক্ত ক্রাশ প্রোগ্রাম করাকালীন সময়ে সরকারি কাজে বাধা দানের উদ্দেশ্যে আসামি মোঃ মিটুল হোসেন (৪০) ধারালো অস্ত্র দিয়ে অত্র দপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও পরিদর্শক অতিরিক্ত দায়িত্ব ভিকটিম মোঃ তরিকুল ইসলাম (৪০), পিতা- মোঃ শরীফুল হকের, গ্রাম- কাগড়বাড়িয়া, থানা- কুমারখালী, জেলা-কুষ্টিয়া ডান হাতের কনুইয়ের নিছে কোপ মেরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে এবং আসামি হান্নান মোল্যা (৪৫) দারালো অস্ত্র দিয়ে উক্ত কোপের উপরই পুনরায় কোপ মেরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে এবং বেলায়েত মোল্যা (৫৫) ভিকটিম মোঃ তরিকুল ইসলামকেম (৪০) হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে নীলাফুলা জখম করে এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত অত্র দপ্তরের মাঠ সংগঠক ভিকটিম মোঃ উজ্জল আহসান (৪০), পিতা-শফিউল্লাহ জোয়াদ্দার, গ্রাম-করিমপুর, থানা- কুষ্টিয়া সদর, জেলা-কুষ্টিয়া এবং জুনিয়র অফিসার হিসাব ভিকটিম মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩৬), পিতা-মোঃ শামসুল ইসলাম, বাগডাঙ্গা, থানা-ঝিনাইদহ সদর, জেলা-ঝিনাইদহ, হিসাব সহকারী ভিকটিম মোঃ মাসুদুর রহমান (৪০), পিতা-মৃত তফেল উদ্দিন, সাং-লক্ষীপুর, থানা-দৌলতপুর, জেলা-কুষ্টিয়াগণসহ উপস্থিত অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপর আসামীগণসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন আসামি সন্ত্রাসী কায়দায় সরকারি কাজে বাধা ও মারপিট করার উদ্দেশ্যে আক্রমন করে মাটিতে ফেলে কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে এবং অবরোধ করে রাখে। পরবর্তীতে বিষয়টি তাৎক্ষণিক মাগুরা সদর থানাকে অবগত করলে মাগুরা সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অবরোধ হতে বিআরডিবির লোকজনকে উদ্ধারপূর্বক চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা মাগুরা সদর হাসপাতাল প্রেরণ করে। বর্তমানে অত্র দপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও পরিদর্শক অতিরিক্ত দায়িত্ব ভিকটিম মোঃ তরিকুল ইসলাম (৪০) গুরুতর আহত অবস্থায় ২৫০ শয্যা মাগুরা সদর হাসপাতাল, মাগুরায় চিকিৎসাধীন আছেন। আহত ভিকটিমদের চিকিৎসা ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়।
ঘটনার এ বিষয়ে জগদল ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামে আসলে আসামীদের কোন লোকজন কোন বক্তব্য দেয়নি। তবে হাসপাতাল থেকে মিটুল জানায়, বিআরডিবির লোকজন তার উপর আগে আক্রমণ করেছে। আর আহত তরিকুল জানায়, সরকারি কাজে বাধা দেয় মিটুল এবং বিআরডিবির লোকজনের উপর হামলা চালিয়েছে মিটুলদের লোকজন।
Leave a Reply